খায়রুল ইসলাম, (ভাঙ্গুড়া, পাবনা): একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেস কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে আগামী মার্চ মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।এবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেকেই। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শুরু করেছেন দৌড়-ধাপ। তাই এবার উপজেলা নির্বাচন জমে উঠবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন সকলেই। উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় আওয়াামী লীগের পক্ষে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন।
তবে, এলাকায় স্থানীয় সচেতন মহলের আলোচনায় স্থান করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, যুবনেতা ও সভাপতি ভাঙ্গুড়া বাজার দোকান মালিক সমিতি মো. মেসবাহুল ইসলাম “মেসবাহ” । যোগ্যতা, সততা ও নিষ্ঠা বিবেচনায় শিক্ষিত ও মেধাবী মেসবাহুল ইসলাম ক্রমশঃ সর্বস্তরের জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন । ভাঙ্গুড়ার কৃতি সন্তান হিসেবে সুপরিচিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের ব্যক্তিত্ব মো. মেসবাহুল ইসলাম এলাকার সচেতন মহলে আলোচনায় স্থান করে নিয়েছেন ।
এদিকে, নির্বাচনের দিন-তারিখ ঠিক না হলেও মো. মেসবাহুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগযোগ অব্যাহত রাখছেন। এলাকার ভোটাদের কাছে তার প্রার্থীতা হওয়ার খবরও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। উপজেলার সর্বত্রই এখন “মেসবাহ”কে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় ।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অন্যান্যদের মধ্যে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন – জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. বাকী বিল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম, সিনিয়ির সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন ছবি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হাসান আরিফ।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদেও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে রয়েছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী খান, সহ-সম্পাদক গোলাম হাফিজ রঞ্জু, সাবেক ভিপি হাজী উদ্দিন জামাল ডিগ্রী কলেজ, সাবেক দুইবার কাউন্সিলার ভাঙ্গুড়া পৌরসভা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ভাঙ্গুড়া পৌর আওয়ামীলীগ মোঃ রেজাউল করিম বাচ্ছু । পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আজিদা পারভীন পাখি, দিলপাশার ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফিয়া সুলতানা আঁখি। তবে এখন পর্যন্ত ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বিএনপি প্রার্থীদের কোন পোষ্টার চোখে পড়েনি।
এদিকে, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে প্রার্থীর সংখ্যা আরো কিছুটা বৃদ্ধি পাবে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন। তবে সকল প্রার্থীরাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা না করলেও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আর তারা এসব সামাজিক অনুষ্ঠানে কৌশলে আগামী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন । আগামী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা ব্যক্তি ইমেজ, দলীয় পরিচয়, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো দলীয় নেতা-কর্মীরদের অবহিত করছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রকাশ্যে না হলেও তারা নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের লবিং। গতবারের মতো এবারও কে পাবেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে শুরু হযেছে আলোচনা । দলের শীর্ষস্থায়ী নেতারা কার হাতে নৌকার দায়িত্ব দেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে শুরু হয়েছে কানাঘোষাও।
জানা গেছে, আগামী মাসে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে । এমন খবরে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিরব প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভাঙ্গুড়া উপজেলা। এই উপজেলায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। বরাবরই উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য লড়াই করেন। আর এতে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না এমটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
আগামী উপজেলা নির্বাচনে লড়তে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের একজন চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাশী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ থেকেই মাঠে রয়েছেন। জাতীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনায় প্রার্থীরা উপজেলা ও জেলার সিনিয়র নেতাদের কাছে আগাম নীরবে লবিং শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের জন্য দলীয় মনোনয়ন লাভই যেন প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সর্বশেষ কার কপালে জাতীয় প্রতীকের মনোনয়ন রয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লোকমান হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দলের কয়েকজন নেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উন্নয়ন ও দ্রুত সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিতে মো. মেসবাহুল ইসলাম “মেসবাহ” উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এবং এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন ও দোয়া কামনা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অত্র এলাকায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন মো. মেসবাহুল ইসলাম “মেসবাহ” ।
এম কে ইসলাম/
Leave a Reply