বেনাপোল প্রতিনিধিঃ মাদক চোরাকারবার সহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও তা উপেক্ষা করে এসব অপরাধিদের বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল হক সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তিনি কারো কারো কাছে টিভি ফ্রিজ, আইপিএস সহ অন্যান্য পণ্য দাবি করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য তিনি গত ৭/০৯/২০ ইং তারিখে বেনাপোল পোর্ট থানায় (তদন্ত) ওসি হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর পরই তিনি একজন ব্যবসায়ির নিকট তার বাসার জন্য টিভি ,ফ্রিজ ও আইপিএস দাবি করেছেন এরকম অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যবসায়ী তাকে এসব পণ্য দিতে অস্বীকার করলে তিনি তার ওপর নাকি বেজায় নাখোশ হয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে, এই আজিজুল হক ২০০৫ সালে বেনাপোল পোর্ট থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে তার এই থানা এলাকার চোরাকারবারীদের সাথেও ছিল সখ্যতা। তার প্রমান সম্প্রতি তিনি এই থানায় গাতিপাড়ার জনৈক চিহিৃত চোরাকারবারি হাফিজুর রহমানকে থানায় ডেকে শলা পরামর্শ করেছেন বলে জানা গেছে। নতুন করে এই থানায় পুনরায় যোগদান এর পর তিনি একটি তালিকা তৈরী করেছেন বলে ওই সুত্র অভিযোগ করে বলছে তিনি সেই তালিকা অনুযায়ী পুরাতন চোরাকারবারীদেরও সন্ধান করছেন। থানায় কিংবা থানার বাইরে সুবিধা জনক কোন স্থানে ওই সকল চোরাকারবারিদের সাথে শলা পরামর্শ করছেন।
শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি পুটখালী এলাকা থেকে বিজিবি স্বর্ন সহ জনৈক নারীকে আটক করে পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষাপটে এই ওসি তদন্ত পুটখালী এলাকার চিহিৃত চোরাকারবারি জিয়াউর রহমান জিয়া এর বাড়িতে যান। কিন্তু কেন গেলেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে সুত্র কিছু বলেনি।
এদিকে এসব সম্পর্কে ওসি তদন্ত আজিজুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব মিথ্যা অভিযোগ আপনি কোথায় পেলেন? এসব কথা আদৌ সত্য নয়। এসব বিষয়ে আপনারা বিস্তারিত খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। এরকম কোন অসৎ কর্মকান্ডে আমি জড়িত নই। এ সম্পর্কে যশোর নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, যদি উল্লেখিত অভিযোগ কেউ আমার কাছে দাখিল করে তবে তার সত্যতা খোজা চেষ্টা করব।
এস ইসলাম/
Leave a Reply