কালের সংবাদ ডেস্কঃ অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীর সঙ্গে নেবুলাইজেশন শব্দটি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এ ছাড়া আমরা সবাই শব্দটির সঙ্গে কম-বেশি পরিচিত
নেবুলাইলেজশন কী?
সরাসরি ফুসফুসে ওষুধ প্রয়োগের একটি পদ্ধতির নাম ‘নেবুলাইজেশন’। মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন বা স্টেরিলাইজড পানিকে বাষ্পে পরিণত করে শ্বাসের সঙ্গে সরাসরি ফুসফুসে প্রেরণের প্রক্রিয়াকে নেবুলাইজেশন বলে। নেবুলাইজেশন কোনো ওষুধ হয়, এটি ওষুধ গ্রহণের একটি পদ্ধতি।
যে মেশিনের মাধ্যমে নেবুলাইজ করা হয় সেটাকে ‘নেবুলাইজার’ বলে।
উপকার
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় নেবুলাইজেশনের মাধ্যমে ওষুধ সেবন খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। কারণ এটি প্রয়োজনীয় ওষুধটিকে খুব দ্রুত এবং সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে দেয়। মুখে খেলে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে ওষুধটি শরীরে প্রবেশ করালে, ফুসফুসের খুব কম অংশেই তা পৌঁছে এবং এটির কার্যকারিতাও হ্রাস পায়। সে ক্ষেত্রে নেবুলাইজেশন ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস হওয়া রোধ করে এবং দ্রুত এটি ফুসফুসে পৌঁছে বলে স্বল্পতম সময়ে রোগীর শ্বাসকষ্টের উপশম হয়।
অপকার
প্রতিটি ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। নেবুলাইজেশনের মাধ্যমে যেসব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সে অনুযায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ছাড়া না বুঝে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া, ভুল মাত্রায় বা ভুল ওষুধ সেবন করলেও জটিলতা দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা
অ্যাজমা, সিওপিডি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের বাড়িতে ব্যক্তিগত নেবুলাইজার মেশিন থাকা খুব ভালো। বাজারে অল্প দামের মধ্যেও ভালোমানের নেবুলাইজার পাওয়া যায়, যেটা দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার উপযোগী। কিন্তু নেবুলাইজার ব্যবহার করলে সঠিকভাবে এটির ব্যবহারবিধি জানতে হবে। মেশিনটি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ব্যবহারের আগে-পরে মেশিনটি জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। না হলে নেবুলাইজার থেকেই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। ডিসইনফেকটেন্ট সলিউশনে ডুবিয়ে রেখে বা গরম পানিতে ফুটিয়ে এটির মাউথ পিস, টিউব এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় অংশ জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। রোগীর রোগ নির্ণয় ও ওষুধের মাত্রা নির্ধারণে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. শাফেয়ী আলম
মেডিক্যাল অফিসার
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা
একে আরিফ/
Leave a Reply