পঙ্কজ দত্ত :- বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার নবম রক্তধারা প্রজন্ম সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব ওরফে নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌলা মহোদয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল মহোদয়ের আমন্ত্রণে একাধিক বার আমাদের ছাতকে এসেছেন অবস্থান করেছেন এবং তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি ১লা এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ ট্রলার ঘাটে নব নির্মিত আল্লাহু চত্বর এর শুভ উদ্বোধনে উদ্ভোধক অংশগ্রহণ করেন।
নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌলা মহোদয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের ট্রলার ঘাটস্থ অফিসে অনেকক্ষণ আলাপচারিতায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে বলেন বর্তমানে বাংলার মাটিতে মুখোশধারী অনেক মীরজাফর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আপনার কাছে ভাল মানুষ সেজে স্বার্থ হাসিল করে বুকে দিয়ে ছুরি মারতে দ্বিধাবোধ করবে না। তিনি বলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে যারা বেইমানী করেছিল তারা কেউই সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকে বাঁচতে পারেনি,তাদের সকলেরই মীরজাফরির কারণে কঠিন ভাবে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আজও ইতিহাস মীরজাফরদের স্বাক্ষ্য বহন করে।
বর্তমান সমাজে যারা মীরজাফরি করবে,অযথা মানুষের সাথে খোঁচা খোঁচি করবে,মানুষের সম্মানহানির চেষ্টা করবে,নিরপরাধ মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করবে তাদেরকে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌলা মহোদয়ের কথা শুনে বুঝা গেল, তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে কতটুকু ভালোবাসেন, নবাবের জন্য আজও উনার মন কাঁদে। তিনি বাংলার মাটিতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বলে একজন খাঁটি বীর দেশপ্রেমী ছিলেন তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য নিঃস্বার্থে কাজ করছেন।
মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় ২৩ জুন সিরাজউদ্দৌলা লুটেরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পলাশির প্রান্তরের যুদ্ধে পরাজিত হন। পশ্চিমবঙ্গের পলাশী প্রান্তরে আম্রকাননে নবাবের সেনাপতি মীর জাফর আলী খান, রাজবল্লভ, কৃষ্ণ চন্দ্র, ঘোষেটিদের মুনাফিকির কারণে নবাবের বাহিনীর পরাজয় ঘটে। এই পরাজয়ে মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আকুল আবেদন আমাদের যেন মুনাফিকদের থেকে দূরে রাখেন। লেখক :- শিক্ষা ইতিহাস ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ছাতক, বাংলাদেশ।
এস চৌধুরী/
Leave a Reply