তানভীর হোসাইন রাজু, কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামে তিন দফা বন্যায় আমন বীজ তলার ব্যাপক ক্ষতির পরেও আমনের বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ হওয়ার পর সরকারী প্রনোদনায় বীজ বিনামূল্যে পেয়ে নতুন উদ্যোমে মাঠে নেমেছিল কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ জানায়,চলতি বছর দীর্ঘস্হায়ি বন্যায় কুড়িগ্রামে ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল বিনিষ্ঠ হয়েছিল। এতে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার কৃষক।
সরকারিভাবে ক্ষতির পরিমান দাড়িয়েছিল ১৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৮১০ জন কৃষকের আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪০৯ হেক্টর জমিতে। জেলায় এবার ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল।এখন পর্যন্ত অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ৯৪ হাজার ৫৩৫ হেক্টর। আমন বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৩ হেক্টর হলেও বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে আমন বীজতলা তৈরি করায় ৭ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
নাগেশ্বরীর কৃষক শাহাজাহান মিয়া জানান,বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পরেও আমনের বাম্পার ফলন পেয়েছি। তবে বন্যা না হলে এর থেকেও বেশি ধান পেতাম। ফুলবাড়ির কৃষক রতিকান্ত বলেন, কিছু জমির ধান কেটেছি ফলন ভালই হয়েছে। কিছু জমির ধান কাটতে দেরি হবে।তবে আশা করছি ফলন ভালই পাবো। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, আমন আবাদ যাতে বিঘ্নিত না হয় এ জন্যে বন্যার পরবর্তি সময় কৃষি পুর্নবাসন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছিল।
এস ইসলাম/
Leave a Reply